একা পান ও শরীরচর্চা: অবাক করা স্বাস্থ্য রহস্য!

webmaster

혼술과 신체 건강   술 마시면서 운동하기 - **Prompt:** A fit young adult, gender-neutral, stands in a modern, well-equipped gym. In one hand, t...

আহা, বন্ধুরা! আজকাল আমাদের জীবনটা যেন এক দৌড়ে চলার মতো। চারপাশে এত চাপ, এত ব্যস্ততা যে, একটু নিজের মতো করে সময় কাটানোই দুষ্কর। আর এই ‘নিজেদের মতো’ সময় কাটাতে গিয়ে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ‘혼술’ বা একা একা পান করাকে। ভাবছেন, এতে ক্ষতি কী?

দিনের শেষে একটু নিজের জন্য, নিজের পছন্দের কিছু দেখতে দেখতে, হালকা মেজাজে একটা ড্রিংক – মন্দ কী? কিন্তু জানেন কি, এই আরামের ফাঁকেই কখন যেন আমাদের শরীরটা একটু অন্য পথে হাঁটতে শুরু করে?

একদিকে ফিট থাকার তাগিদ, নিয়মিত শরীরচর্চা আর অন্যদিকে মাঝে মাঝে একাকী পানের অভ্যাস – এই দুইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখাটা আজকাল যেন এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ভাবেন, “একটু তো খাচ্ছি, পরের দিন জিমে গিয়ে সব পুষিয়ে নেব!” কিংবা “ব্যায়াম যখন করছি, একটু আধটু খেলে কি আর হয়?” কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এই ভাবনাটা কতটা ভুল হতে পারে। শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হলে শুধু জিমে ঘাম ঝরালেই চলে না, কখন কী খাচ্ছি বা পান করছি, সেদিকেও কিন্তু নজর রাখাটা খুব জরুরি।এই যে একা একা পান করার সংস্কৃতি, এটা কেবল একটি সাময়িক ট্রেন্ড নয়, বরং এটি আমাদের মানসিক অবস্থা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর কতটা প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে আমাদের সবারই বিশদ জানা দরকার। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, অ্যালকোহল এবং ব্যায়ামের সম্পর্কটা ঠিক কেমন হওয়া উচিত। আমরা প্রায়শই দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় বা বন্ধুদের আড্ডায় শরীরচর্চার পাশাপাশি মদ্যপানের ‘কুল’ ছবি, কিন্তু এর পেছনের বিজ্ঞানটা কি আমরা জানি?

এই ব্লগে আমি আমার দীর্ঘদিনের গবেষণা আর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া এমন কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব, যা আপনাদের চোখ খুলে দেবে।আশা করি, আজকের আলোচনা আপনাদের এই দুই ভিন্ন জীবনধারার মধ্যে একটি সুষম পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!

শরীরচর্চা আর মদ্যপান: এক অদ্ভুত টানাপোড়েন

혼술과 신체 건강   술 마시면서 운동하기 - **Prompt:** A fit young adult, gender-neutral, stands in a modern, well-equipped gym. In one hand, t...

সুস্থ থাকার লড়াইয়ে অ্যালকোহল কি শুধুই বাধা?

আহা, বন্ধুরা, আপনারা হয়তো আমার মতোই অনেক দিন ধরে এই ভুল ধারণায় ভুগেছেন যে, “একটু আধটু মদ্যপান করলে আর কী এমন ক্ষতি হবে? পরের দিন তো জিমে গিয়ে সব পুষিয়ে নেব!” আমার নিজের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটত। কাজের চাপ, সামাজিক মেলামেশা – সব মিলিয়ে কখন যে গ্লাসে চুমুকটা একটু বেশি হয়ে যেত, বুঝতেই পারতাম না। আর ভাবতাম, এতে আমার শরীরচর্চার রুটিনে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, দিনের শেষে যখন দেখতাম আমার পারফরম্যান্স কমে আসছে, বা আমার কাঙ্ক্ষিত শারীরিক লক্ষ্যগুলো পূরণ হচ্ছে না, তখন মনে হতো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এই যে আমরা এক হাতে ডাম্বেল তুলছি আর অন্য হাতে গ্লাস তুলে নিচ্ছি, এই দুইয়ের মধ্যে একটা অদ্ভুত টানাপোড়েন চলে। শরীর চাইছে ফিট থাকতে, কিন্তু মন বা অভ্যাস আমাদের অন্য দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই লড়াইটা কেবল আমার একার নয়, চারপাশে তাকিয়ে দেখি আমার অনেক বন্ধুও এই একই সমস্যায় ভুগছে। আসলে, আমরা অনেকেই জানি না যে অ্যালকোহল আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে কীভাবে প্রভাবিত করে, আর সেটা আমাদের ব্যায়ামের ফলাফলের উপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই বিষয়ে গভীরভাবে না জানলে, আমাদের সব পরিশ্রম কিন্তু পণ্ড হতে পারে।

আমার ভুল ধারণা: “একটু তো খাচ্ছি”

“একটু তো খাচ্ছি” – এই কথাটা আমরা যেন নিজেদেরকেই বোঝানোর জন্য বলি। আমি নিজে যখন প্রথম জিমে যাওয়া শুরু করি, তখন আমার ধারণা ছিল যে, আমি যেহেতু নিয়মিত শরীরচর্চা করছি, তাই আমার মেটাবলিজম এত ভালো যে সামান্য অ্যালকোহল আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। ভাবতাম, আমার শরীর নিশ্চয়ই সহজেই সব সামলে নেবে। কিন্তু আমার সেই ধারণাটা ছিল পুরোপুরি ভুল। যখন দেখলাম, একই রকম পরিশ্রম করেও আমার মাসল রিকভারি হচ্ছে না, ঘুম ভালো হচ্ছে না, আর পরের দিন ওয়ার্কআউটের সময় যেন শরীরটা টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে, তখন বুঝতে পারলাম, সমস্যাটা অন্য কোথাও। আসলে, এই ‘একটু’ অ্যালকোহলই আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় যা আমাদের সুস্থ থাকার সব প্রচেষ্টাকেই নষ্ট করে ফেলে। আমি যখন আমার ট্রেনারের সাথে কথা বললাম, তখন তিনি আমাকে পরিষ্কার করে বোঝালেন যে, অ্যালকোহল কীভাবে আমাদের হরমোন, ঘুম এবং মাসল সিন্থেসিসে বাধা দেয়। আমার মনে আছে, প্রথম প্রথম এটা মানতে কষ্ট হলেও, যখন আমি কিছুদিনের জন্য অ্যালকোহল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলাম, তখন আমার শারীরিক শক্তি, মানসিক ফুর্তি এবং ব্যায়ামের পারফরম্যান্সে যে অভাবনীয় পরিবর্তন এল, সেটা আমার চোখ খুলে দিয়েছিল।

আপনার শরীর ও মনের উপর মদ্যপানের গোপন প্রভাব

Advertisement

পানীয়র আড়ালে লুকিয়ে থাকা শারীরিক ক্ষতি

বিশ্বাস করুন বা না করুন, ওই মিষ্টি পানীয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক কিছু ক্ষতি। আমরা যখন কোনো অ্যালকোহল পান করি, আমাদের লিভার সেটাকে ভেঙে বের করে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর এই কাজটা করতে গিয়ে লিভারের কিন্তু অন্য কাজগুলো, যেমন চর্বি পোড়ানো বা গ্লুকোজ তৈরি করা, সেগুলো থমকে যায়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যখনই আমি একটু বেশি পান করতাম, পরের দিন শরীরটা কেমন ম্যাজম্যাজ করত, মনে হতো ভেতরে যেন ক্লান্তি বাসা বেঁধেছে। ওয়ার্কআউটের সময় পুরো শক্তি পেতাম না, আর আমার মাসলগুলোতে ব্যথাটাও যেন অনেক বেশি লাগত। এর কারণ হলো, অ্যালকোহল আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন ঘটায়, যা মাসল ক্র্যাম্প বা পেশীর টানে পড়ার অন্যতম কারণ। শুধু তাই নয়, অ্যালকোহল আমাদের প্রোটিন সিন্থেসিস প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যার মানে হলো আপনার মাসলগুলো ঠিকমতো মেরামত হতে পারে না। আপনি হয়তো ভাবছেন, “এক গ্লাস তো!” কিন্তু এই এক গ্লাসই আপনার ঘুমের চক্রকে নষ্ট করে দেয়। গভীর ঘুম না হলে আপনার শরীর ঠিকমতো রিকভার করতে পারে না, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, আর যার ফলস্বরূপ আপনার ব্যায়ামের সব সুফল অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়।

মানসিক স্বাস্থ্যে একাকী পানের প্রভাব

একাকী মদ্যপান, বা ‘혼술’ শুধু আমাদের শরীরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, মনের উপরও এর একটা গভীর প্রভাব ফেলে। আমি দেখেছি, যখন আমি একা একা পান করতাম, প্রথম প্রথম হয়তো ভালো লাগত। মনে হতো সব চাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছি, নিজের মতো করে একটু সময় কাটাচ্ছি। কিন্তু ধীরে ধীরে, এই অভ্যাসটা একটা অন্য দিকে মোড় নিত। রাতের পর রাত যখন আমি একা পান করে কাটাতাম, তখন আমার ভেতর একটা অজানা বিষণ্ণতা গ্রাস করত। পরদিন ঘুম থেকে উঠেই মনে হতো, আরও একা হয়ে গেছি, কাজ করার কোনো ইচ্ছাই থাকত না। অ্যালকোহল সাময়িকভাবে হয়তো আপনাকে একটু ভালো অনুভব করায়, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটা উদ্বেগ, হতাশা এবং মানসিক অবসাদ আরও বাড়িয়ে তোলে। আমার এক বন্ধু ছিল, যে একাকী পান করতে শুরু করেছিল কেবল স্ট্রেস কমানোর জন্য। কিছুদিন পর দেখা গেল, স্ট্রেস কমার বদলে সে আরও বেশি ডিপ্রেসড হয়ে পড়েছে, আর অ্যালকোহলের উপর তার নির্ভরতাও বেড়ে গেছে। এটা কিন্তু খুবই বিপজ্জনক একটা চক্র। তাই, যখনই আপনি একা একা পান করার কথা ভাবছেন, একবার ভেবে দেখুন, এটা আপনার মনের উপর কেমন প্রভাব ফেলতে পারে। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে শুধু শরীরের যত্ন নিলেই হবে না, মনের যত্নও নিতে হবে।

ব্যায়ামের সুফল কি মদ্যপানে ধুয়ে যায়?

পেশী গঠনে বাধা ও চর্বি জমার প্রবণতা

আমরা এত কষ্ট করে জিমে ঘাম ঝরাই, সুষম খাবার খাই – সবকিছুই করি পেশী গঠন আর মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু যখনই আমরা মদ্যপান করি, আমাদের শরীরের ভেতরের পুরো রসায়নটাই যেন এলোমেলো হয়ে যায়। আমি নিজেই লক্ষ্য করেছি, যখন আমি একটানা কয়েকদিন অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতাম, তখন আমার পেশীগুলো যেন আরও দ্রুত সাড়া দিত, আরও শক্তিশালী মনে হতো। এর কারণ হলো, অ্যালকোহল আমাদের পেশী প্রোটিন সিন্থেসিস (MPS) প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। সোজা কথায় বলতে গেলে, অ্যালকোহল আপনার পেশী কোষগুলোকে ঠিকমতো মেরামত হতে দেয় না, নতুন পেশী গঠনে বাধা দেয়। তার উপর, অ্যালকোহলে প্রচুর পরিমাণে ‘খালি ক্যালরি’ থাকে, মানে পুষ্টিগুণ বলতে গেলে প্রায় কিছুই নেই। আমাদের শরীর এই ক্যালরিগুলোকে চর্বি হিসেবে জমা করার প্রবণতা দেখায়, বিশেষ করে পেটের চারপাশে। আমার মনে আছে, আমি যখন কঠোর ডায়েট আর এক্সারসাইজ করেও পেটের মেদ কমাতে পারছিলাম না, তখন আমার ট্রেনার আমাকে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “যতক্ষণ তুমি অ্যালকোহল পান করছ, ততক্ষণ তোমার শরীর চর্বি পোড়ানোর চেয়ে অ্যালকোহল ভাঙতে বেশি ব্যস্ত থাকবে।” আর সত্যিই, যখন মদ্যপান কমিয়ে দিলাম, ফলাফলটা হাতেনাতে পেলাম।

আপনার শক্তি ও সহনশীলতার উপর মদ্যপানের আঘাত

ওয়ার্কআউটের সময় যদি আপনার মনে হয় শক্তি পাচ্ছেন না, অথবা খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, তাহলে একবার ভেবে দেখুন আপনি কতটা মদ্যপান করছেন। আমার এক বন্ধু, যে নিয়মিত ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সে আমাকে একবার বলেছিল যে, তার রেসের পারফরম্যান্স হঠাৎ করে খারাপ হতে শুরু করেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমার লাইফস্টাইলে কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?” সে স্বীকার করল যে, রাতে সে একটু বেশি পান করছে। অ্যালকোহল আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়, যা আমাদের শক্তি এবং সহনশীলতার জন্য খুবই ক্ষতিকর। ডিহাইড্রেশন আমাদের শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার ফলে মাসলগুলোতে দ্রুত ক্লান্তি আসে এবং তাদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও, অ্যালকোহল আমাদের ঘুমের মান কমিয়ে দেয়। গভীর ঘুম না হলে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না, যার ফলস্বরূপ পরের দিনের ওয়ার্কআউটে আপনার শক্তি আর সহনশীলতা অনেকটাই কমে যায়। আপনি হয়তো ভাবছেন, “কালকে পান করেছি, আজ তো আর করছি না!” কিন্তু অ্যালকোহলের প্রভাব আপনার শরীরে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। তাই, আপনার ব্যায়ামের সুফল পেতে হলে, অ্যালকোহল থেকে একটু দূরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমার নিজের রেসের পারফরম্যান্সও মদ্যপান কমানোর পর অনেক ভালো হয়েছিল, এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা।

সঠিক ভারসাম্য: কখন পান করা উচিত, কখন নয়?

Advertisement

বিশেষ দিনের আনন্দ আর নিয়মিত অভ্যাস

জীবনটা তো আর শুধু নিয়ম মেনে চলার জন্য নয়, আনন্দ করারও একটা জায়গা আছে। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, বন্ধুদের সাথে পুনর্মিলন – এমন বিশেষ দিনে একটু আধটু পানীয় উপভোগ করাই যায়। আমিও মনে করি, এমন দিনে একটু রিল্যাক্স করাটা দরকার। কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় যখন এই বিশেষ দিনের পান করাটা আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়। আমি অনেককেই দেখেছি, যারা সপ্তাহে অন্তত ৫-৬ দিন একা একা পান করেন, আর ভাবেন এটা খুব স্বাভাবিক। এই নিয়মিত অভ্যাসটাই কিন্তু বিপদ ডেকে আনে। আমি নিজের ক্ষেত্রে দেখেছি, যখন আমার পান করার অভ্যাসটা নিয়মিত হয়ে গিয়েছিল, তখন আমি আর বিশেষ দিনগুলোর আনন্দও ঠিকমতো উপভোগ করতে পারতাম না। শরীরটা সবসময় কেমন ভার ভার লাগত। তাই, আনন্দ উপভোগ করার জন্য পানীয় অবশ্যই হতে পারে, কিন্তু সেটা যেন কখনোই একটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত না হয়। মনে রাখবেন, আনন্দের জন্য পান করা আর অভ্যাসের বশে পান করার মধ্যে একটা বড় পার্থক্য আছে। নিজের মনকে বুঝিয়ে নিন যে, কখন এই গ্লাসটা আপনার জন্য আনন্দ বয়ে আনছে আর কখন এটা শুধুই একটা বোঝা হয়ে উঠছে।

সচেতনতার সাথে পানের কিছু টিপস
যদি আপনি পান করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে সেটা যেন হয় সচেতনতার সাথে। আমি কিছু সহজ টিপস অনুসরণ করি যা আমার অভিজ্ঞতা থেকে খুবই কার্যকর বলে মনে হয়েছে। প্রথমত, পান করার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। এটা ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয়ত, পান করার সময় ধীরে ধীরে পান করুন এবং প্রতিটি পানীয়র মাঝে অন্তত এক গ্লাস জল পান করুন। তৃতীয়ত, কখনো খালি পেটে পান করবেন না; ভালো করে খেয়ে তারপর পান করুন। আর সব থেকে জরুরি যেটা, একটা সীমা বেঁধে নিন। আগে থেকেই ঠিক করুন যে আপনি কতটুকু পান করবেন এবং সেই সীমাটা কোনোভাবেই অতিক্রম করবেন না। আমি আমার বন্ধুদেরকেও এই কথাগুলো বলি। আমার এক বন্ধু একবার বলেছিল যে, এই ছোট ছোট টিপসগুলো তাকে অনেক সাহায্য করেছে তার পানের অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। আর হ্যাঁ, ওয়ার্কআউটের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে এবং পরে মদ্যপান না করাই ভালো। নিচে একটি ছোট টেবিলের মাধ্যমে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরছি, যা আপনাকে এই ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

কী করবেন কী করবেন না
পান করার আগে ও পরে পর্যাপ্ত জল পান করুন। খালি পেটে অ্যালকোহল পান করবেন না।
ধীরে ধীরে পান করুন এবং জল দিয়ে মেশান। ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে মদ্যপান করবেন না।
বিশেষ দিনে সীমিত পরিমাণে পান করুন। দৈনিক অভ্যাসে মদ্যপানকে স্থান দেবেন না।
নিজের জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করুন। অ্যালকোহলকে স্ট্রেস কমানোর উপায় হিসেবে ব্যবহার করবেন না।

‘একটু আধটু’ মদ্যপান কি সত্যিই ক্ষতিকর নয়?

অল্প পানের দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি

আমরা অনেকেই ভাবি, “একটু আধটু তো খাচ্ছি, এতে আর কী হবে?” কিন্তু এই ‘একটু আধটু’ ব্যাপারটাকেই আমি সবচেয়ে বিপজ্জনক মনে করি। আমার এক কাকার ক্ষেত্রে দেখেছি, যিনি দিনের পর দিন এই ‘একটু আধটু’ পান করতে করতে একসময় বুঝেছিলেন যে এটা তার লিভারের ক্ষতি করছে। অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল হলেও, যখন এটা দীর্ঘ সময় ধরে আপনার শরীরে প্রবেশ করে, তখন এর দীর্ঘমেয়াদী কিছু ঝুঁকি তৈরি হয় যা আমরা অনেকেই খেয়াল করি না। যেমন, হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, কিছু ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া, লিভারের ক্ষতি, এবং এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যখন আমি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে পান করতাম, তখনও কিন্তু আমার ঘুমের কোয়ালিটি ভালো থাকত না, সকালে উঠলে একটা হালকা ক্লান্তি কাজ করত। হয়তো তাৎক্ষণিক কোনো বড় ক্ষতি চোখে পড়ত না, কিন্তু শরীরের ভেতরে ভেতরে যে একটা ধীরগতির পরিবর্তন আসছিল, সেটা আমি অনুভব করতাম। বিজ্ঞানীরাও বলেছেন যে, অ্যালকোহলের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই যা শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। তাই, ‘একটু আধটু’ বলে নিজেকে সান্ত্বনা না দিয়ে, এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকাটা খুব জরুরি।

আমাদের শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করে
আমাদের শরীর অ্যালকোহলের প্রতি একেকজনের ক্ষেত্রে একেকভাবে প্রতিক্রিয়া করে। এটা নির্ভর করে আমাদের শরীরের গঠন, লিভারের কর্মক্ষমতা, এমনকি জেনেটিক্স-এর উপরেও। আমি দেখেছি, আমার এক বন্ধু সামান্য পান করলেই পরের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ত, অথচ আরেক বন্ধু অনেক পান করার পরও দিব্যি সুস্থ থাকত। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, দ্বিতীয় জনের শরীর অ্যালকোহল থেকে মুক্ত থাকছে। আসলে, অ্যালকোহল প্রথমে আমাদের ব্রেনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে আমাদের বিচারশক্তি এবং ভারসাম্য নষ্ট হয়। তারপর লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অ্যালকোহলকে শরীর থেকে বের করে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন আমাদের শরীর তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। যেমন, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। আমার মনে আছে, একবার আমি যখন অসুস্থ ছিলাম, তখন সামান্য অ্যালকোহল পান করার পর আমার শরীর এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, আমি অবাক হয়েছিলাম। এটা থেকে বুঝলাম যে, শরীর যখন দুর্বল থাকে, তখন অ্যালকোহল আরও বেশি ক্ষতি করে। তাই, আমাদের শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করছে, সেই সিগনালগুলো বোঝা খুব জরুরি। শরীরের কথা শুনুন, কারণ শরীরই আপনাকে বলবে কখন এটা আপনার জন্য ভালো, আর কখন নয়।

নিজের যত্ন: মদ্যপান কমানোর কিছু সহজ উপায়

Advertisement

বিকল্প বিনোদন ও সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা

মদ্যপান কমানো মানে এই নয় যে, আপনি আপনার সব আনন্দ বিসর্জন দেবেন। আসলে, ব্যাপারটা হলো আপনার জীবনযাত্রায় কিছু বিকল্প বিনোদন এবং সুস্থ অভ্যাস যোগ করা। আমি নিজে যখন মদ্যপান কমানোর সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন প্রথমে একটু কঠিন মনে হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি নতুন নতুন শখ খুঁজে বের করলাম। যেমন, সন্ধ্যায় বই পড়া, নতুন কোনো ভাষা শেখা, ছবি আঁকা বা কোনো ক্রিয়েটিভ কাজ করা। আমার মনে আছে, আমি একটা কুকিং ক্লাস শুরু করেছিলাম, আর সেটা আমার মনকে এমনভাবে ব্যস্ত রাখত যে, মদ্যপানের কথা মনেই পড়ত না। এছাড়া, নিয়মিত শরীরচর্চা তো আছেই, যা আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে দারুণ সাহায্য করে। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় এখন আমি নতুন নতুন ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করি যেখানে নন-অ্যালকোহলিক ড্রিঙ্কস এর ভালো অপশন আছে। এর ফলে সামাজিক জীবনও বজায় থাকে, আবার সুস্থও থাকা যায়। আমার এক বন্ধু বলেছিল, “যখন আমি আমার পছন্দের কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তখন মদ্যপানের কথা মনেও পড়ে না।” এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোই কিন্তু আপনার জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে দিতে পারে।

বন্ধুদের সাথে আড্ডায় নতুনত্ব
অনেক সময় আমরা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় গিয়েই মদ্যপানের ফেরে পড়ি। মনে হয়, বন্ধুদের সাথে পান না করলে আড্ডাটা ঠিক জমে না। আমারও এমনটা মনে হতো। কিন্তু আমি ধীরে ধীরে আমার বন্ধুদেরকেও বোঝাতে পেরেছি যে, আনন্দ করার জন্য অ্যালকোহল অপরিহার্য নয়। এখন আমরা যখন আড্ডা দিই, তখন আমরা নতুন নতুন খেলা খেলি, কোথাও ঘুরতে যাই, বা একসাথে নতুন কোনো রেসিপি ট্রাই করি। দেখা যায়, তাতে আনন্দ আরও বেশি হয়, আর পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনো আফসোসও থাকে না। আমি দেখেছি, আমার বন্ধুরা যখন দেখল আমি মদ্যপান কমিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করছি, তখন তারাও অনুপ্রাণিত হলো। আমরা এখন একসাথে হাইকিংয়ে যাই, সাইক্লিং করি, বা নতুন কোনো আউটডোর অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিই। এর ফলে আমাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়েছে, আর আমাদের জীবন আরও সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। তাই, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পানীয়কে কেন্দ্র না করে, আড্ডার মূল আনন্দটাকেই নতুন করে আবিষ্কার করুন। দেখবেন, আপনার সামাজিক জীবনও আরও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।

লেখাটি শেষ করছি

বন্ধুরা, আজ আমরা শরীরচর্চা এবং মদ্যপানের এক জটিল সম্পর্ক নিয়ে কথা বললাম। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যে, কীভাবে আমাদের ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আমাদের সুস্থ থাকার স্বপ্নকে প্রভাবিত করতে পারে। মনে রাখবেন, জীবন মানেই ভারসাম্য। পুরোপুরি সবকিছু ছেড়ে দেওয়া হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু সচেতনতা এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও আনন্দময় পথ বেছে নিতে পারি। আপনাদের সুস্থ জীবনই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আসুন, সবাই মিলে নিজেদের যত্ন নিই এবং শরীর ও মনকে সতেজ রাখি, হাসিখুশি থাকি!

জেনে রাখুন কিছু দরকারী তথ্য

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন: মদ্যপানের আগে, চলাকালীন এবং পরে পর্যাপ্ত জল পান করা ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে।

২. ভরা পেটে পান করুন: খালি পেটে মদ্যপান করলে অ্যালকোহল দ্রুত রক্তে মিশে যায়, যা শরীরের উপর আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ভালো করে খেয়ে পান করুন।

৩. নিজের সীমা নির্ধারণ করুন: কতটুকু পান করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন এবং সেই সীমার বাইরে যাবেন না। এটি আপনাকে অতিরিক্ত পান করা থেকে বিরত রাখবে, যা আমি নিজেও করি।

৪. বিকল্প বিনোদনের সুযোগ খুঁজুন: মদ্যপানের পরিবর্তে নতুন কোনো শখ বা কার্যকলাপ খুঁজে বের করুন যা আপনাকে আনন্দ দেবে এবং মনকে ব্যস্ত রাখবে, যেমন বই পড়া বা নতুন কিছু শেখা।

৫. শরীরচর্চার আগে ও পরে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: ব্যায়ামের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে এবং পরে মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার পেশী পুনরুদ্ধার এবং কর্মক্ষমতা ভালো থাকবে, আমার বিশ্বাস করুন, এর ফল আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।

Advertisement

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী

মদ্যপান আমাদের শরীরচর্চার ফলাফল, পেশী গঠন, শক্তি ও সহনশীলতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। এটি শুধুমাত্র শারীরিক ক্ষতিই করে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমি দেখেছি, সচেতনতার সাথে মদ্যপান এবং একটি সুষম জীবনযাপন করা অত্যন্ত জরুরি। নিজের শরীরের কথা শুনুন এবং সুস্থ অভ্যাসের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর ও আনন্দময় জীবন বেছে নিন, কারণ আপনার সুস্থতাই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: ব্যায়ামের পর একাকী পান করলে কি শরীরের উপকার হয়, নাকি ক্ষতিই বেশি হয়?

উ: আহা, এই প্রশ্নটা সত্যিই দারুণ! আমি আমার দীর্ঘদিনের শরীরচর্চার অভিজ্ঞতা আর বহু মানুষের সাথে কথা বলে দেখেছি, ব্যায়ামের পর একাকী পান করার অভ্যাসটা আপাতদৃষ্টিতে আরামদায়ক মনে হলেও, এর ক্ষতিটাই বেশি। যখন আমরা ব্যায়াম করি, আমাদের মাংসপেশীতে ছোট ছোট ফাটল তৈরি হয়। শরীর তখন এগুলো সারিয়ে তুলতে ব্যস্ত থাকে, যাতে পেশীগুলো আরও শক্তিশালী হতে পারে। কিন্তু এই সময় যদি আপনি অ্যালকোহল পান করেন, তবে সেটা এই মেরামতির প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করে। অ্যালকোহল শরীরের জলীয় অংশ কমিয়ে দেয়, মানে আপনি পানিশূন্যতায় ভুগতে পারেন, যা পেশী পুনরুদ্ধারের জন্য একদমই ভালো নয়। এছাড়া, এটি প্রোটিন সংশ্লেষণকেও কমিয়ে দেয়, অর্থাৎ পেশী তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াটা ধীর হয়ে যায়। ভাবুন তো, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালেন, কষ্ট করে শরীর তৈরি করলেন, আর একটা গ্লাসেই সব পরিশ্রম জলে?
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যে দিনগুলোতে ব্যায়ামের পর হালকা পানীয় নিয়েছি, পরের দিন শরীরটা কেমন যেন ম্যাজম্যাজ করেছে, ক্লান্তি কাটতে চায়নি, আর ব্যায়ামের ফলাফলও মনমতো হয়নি। এটা যেন একটা ভালো গাড়ির ইঞ্জিনে ভুল তেল ঢালার মতো – গাড়ি চলবে ঠিকই, কিন্তু তার কর্মক্ষমতা কমে যাবে আর দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়বে। তাই, যদি সত্যিই শরীরকে সুস্থ রাখতে চান আর ব্যায়ামের পুরো সুফল পেতে চান, তাহলে ব্যায়ামের পরপরই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন, সেটাই আমার পরামর্শ।

প্র: যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা কীভাবে নিজেদের পানের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন?

উ: আমার বন্ধুরা, এই প্রশ্নটা খুব বাস্তবসম্মত। আমরা তো আর রোবট নই, তাই না? জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে মাঝে মাঝে একটু পানীয় নিতেই পারি। তবে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য এই ভারসাম্যটা বজায় রাখাটা খুব জরুরি। আমার নিজের জীবনেও আমি দেখেছি, পুরোপুরি অ্যালকোহল ছেড়ে দেওয়াটা সবার জন্য সম্ভব হয় না, বা অনেকে চানও না। সেক্ষেত্রে, আমার কিছু পরীক্ষিত টিপস আছে: প্রথমত, পরিমাণের দিকে নজর দিন। সপ্তাহে কতবার আর কতটুকু পান করছেন, তার একটা হিসেব রাখুন। আমি নিজে দেখেছি, সপ্তাহে দু’দিনের বেশি না পান করার চেষ্টা করলে শরীর সুস্থ থাকে। দ্বিতীয়ত, কখন পান করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের ঠিক আগে বা পরে পান করা থেকে বিরত থাকুন। ব্যায়ামের আগে করলে আপনার কর্মক্ষমতা কমবে, আর পরে করলে পেশী পুনরুদ্ধারে সমস্যা হবে। অন্তত ৪-৬ ঘণ্টা বিরতি রাখার চেষ্টা করুন। তৃতীয়ত, স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন। বেশি চিনিযুক্ত ককটেল বা বিয়ারের বদলে হালকা ওয়াইন বা স্পিরিট বেছে নিতে পারেন, তাও আবার পরিমিত পরিমাণে। পান করার সময় প্রতি গ্লাস অ্যালকোহলের সাথে এক গ্লাস জল পান করলে ডিহাইড্রেশন কমে। আর সব থেকে বড় কথা হলো, নিজেকে জানুন। আপনার শরীর কতটুকু অ্যালকোহল সহ্য করতে পারে, আর কতটুকু আপনার ব্যায়ামের লক্ষ্যে বাধা দিচ্ছে, সেটা আপনার নিজেরই বোঝার বিষয়। নিজের প্রতি সৎ থাকুন আর নিজের লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দিন।

প্র: ‘혼술’ বা একা একা পান করার অভ্যাস কি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে? আর এর সাথে ব্যায়ামের সম্পর্কই বা কী?

উ: ওহ, এই প্রশ্নটা সত্যিই অনেক গভীর। ‘혼술’ বা একা একা পান করার প্রবণতাটা আজকাল বেশ বেড়েছে, বিশেষ করে এই ডিজিটাল যুগে। শুরুতে মনে হতে পারে, দিনের শেষে একটু নিজের মতো করে আরাম করা, চাপ কমানো – মন্দ কী?
কিন্তু আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ আর অনেকের সাথে কথা বলে আমি বুঝেছি, এই অভ্যাসটা মানসিক স্বাস্থ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। প্রথমত, একা একা পান করার মাধ্যমে আপনি হয়তো ক্ষণিকের জন্য মানসিক চাপ বা একাকীত্ব ভুলতে চাইছেন। কিন্তু অ্যালকোহল আদতে ডিপ্রেশন বা উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই সাময়িক স্বস্তিটা একটা মায়াজালের মতো, যা আপনাকে এক নেতিবাচক চক্রে ফেলে দিতে পারে। দিনের পর দিন একা পান করতে থাকলে সামাজিক মেলামেশা কমে যায়, যা একাকীত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এখন এর সাথে ব্যায়ামের সম্পর্কটা কোথায়?
ব্যায়াম হলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটা প্রাকৃতিক উপায়। ব্যায়াম করলে আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনকে উৎফুল্ল করে তোলে, চাপ কমায় এবং ঘুমের উন্নতি ঘটায়। আমি নিজে দেখেছি, যখনই মন খারাপ বা চাপ অনুভব করেছি, জিমে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘাম ঝরিয়েছি, তখনই মনটা অনেক হালকা হয়ে গেছে। কিন্তু যদি আপনি ব্যায়ামের পর আবার ‘혼술’-এর দিকে ঝুঁকে পড়েন, তবে ব্যায়ামের মাধ্যমে অর্জিত মানসিক সুস্থতার অনেকটাই আপনি নষ্ট করে ফেলছেন। এটা যেন এক ধাপ এগিয়ে আবার দু’ধাপ পিছিয়ে আসার মতো। তাই, একা একা পান করার অভ্যাসের গভীরে কী আছে, সেটা খুঁজে বের করা খুব জরুরি। যদি চাপ বা একাকীত্বই এর কারণ হয়, তবে ব্যায়ামকে আপনার সেরা বন্ধু বানান, অ্যালকোহলকে নয়। নিজের যত্ন নিন, মনকে সুস্থ রাখুন, শরীর আপনা থেকেই সুস্থ থাকবে।

📚 তথ্যসূত্র

혼술과 신체 건강   술 마시면서 운동하기 - **Prompt:** A young adult, looking visibly fatigued and sluggish, attempts to complete a set of body...